বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে অরণ্য বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এক পুরাতন জনপদের নাম শ্রীবরদী। শ্রীবরদী উপজেলাটি ১৯৮৩ সালে শেরপুর জেলার একটি উপজেলা হিসাবে উন্নিত হয়। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কূলঘেষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে নীলাভূমি উপজেলাটি ১০ টি ইউনিয়ন ৮১ টি মৌজা, ১টি পৌরসভা ও ১৫৬ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। উপজেলার উত্তরে গারো পাহাড় পরিবেশিষ্ট পাহাড়ি এ উপজেলার আয়তন ২৫২৪৪ বর্গ কিলোমিটার। কৃষি প্রধান এ উপজেলায় মুসলিম, হিন্দু, গারো, কোচ, হাজংসহ অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহঅবস্থানে সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যামান।
শ্রীবরদী উপজেলাটির প্রাচীন নাম শম্ভুগঞ্জ। শ্রী শম্ভুনাথ তালুকদার অত্র এলাকার জমিদারের পক্ষে খাজনা সংগ্রহ করতেন। অনেকের মতে তার নামানুসারে এলাকাটির নাম শম্ভুগঞ্জ রাখা হয়েছিল। কথিত আছে ‘শ্রী বর দা’নামে এক অপরুপ সুন্দরী জমিদার কন্যা ছিল। দেখতে অপরুপ সুন্দরী এ জমিদার কন্যাকে প্রজা সাধারন ‘শ্রী বড় দিদি’বলে সম্বোধন করতো। সেই শ্রী বড় দিদি‘র সংক্ষিপ্ত রুপ ‘শ্রী-বর-দি’থেকে আজকের ‘শ্রীবরদী’। বর্তমানে উপজেলা সদরের মৌজার নাম শ্রীবরদী শম্ভুগঞ্জ আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস